কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’ এ বার্তায় আকাশে ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে এবার কক্সবাজারের বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন করা হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে নানা আয়োজনে জেলার ৩০টি বৌদ্ধপল্লিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।
এই উপলক্ষে শহরের অগ্গ্যমেধা বড় ক্যাং, রামুর ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহার, কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার, রামু মৈত্রী বিহারসহ জেলার অর্ধশতাধিক বৌদ্ধবিহারে সকালে শুরু হয় বুদ্ধপূজা, অষ্টশীল গ্রহণ, মহাসংঘদান ও ধর্মসভা। সন্ধ্যায় জগতের সব প্রাণীর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এরপর বিহারগুলোয় আয়োজন করা হবে বর্ণিল ফানুস উৎসব। এবারের প্রবারণার আয়োজনে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে হয় বড় ফানুস উৎসব। এখানে এক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় চিত্রশিল্পীরা নানা রংবেরঙের ফানুস তৈরি করেন।
চিত্রশিল্পী জয়া বড়ুয়া জানান, এবারের প্রবারণায় অন্যতম বার্তা হলো- মুক্ত ফিলিস্তিন। পাশাপাশি বিশ্বের সুখ-শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, গাজাবাসীর ওপর যে মানবতা লঙ্ঘন, মানবিক বিপর্যয় হয়েছে, বিশ্ববাসী যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন; আমরা চাই সেখানে মানবিক বিপর্যয় বন্ধ হোক। আজকে ফানুস উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববাসী ও দেশবাসীকে এই শান্তির বার্তা দিতে চাই বিশ্বে যুদ্ধ নয়, শান্তি বর্ষিত হোক।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জানান, আষাঢ় পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুরা এ দিনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নতুন প্রতিজ্ঞায় ব্রতী হন। বৌদ্ধ ধর্মে এটি ‘সংযম ও পরিশুদ্ধতার উৎসব’ হিসেবেই পরিচিত।
এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরে রামুর চেরাংঘাটায় বাঁকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসব। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের টহল ও নজরদারি রয়েছে।