
ধামরাই প্রতিনিধি ঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় আকলিমা (১৭) আক্তার নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয় জসীম উদ্দিনের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত আকলিমা আক্তার মামা-মামীর সঙ্গে বসবাস করে শিশু মামাতো ভাইকে দেখাশোনা করতেন। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আড়াক আনন্দপুর এলাকার ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে।
মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর বারবাড়িয়া এলাকায় মামার ভাড়া বাসায় আসে সে। মামা-মামী স্থানীয় একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানায় চাকরি করেন। তাদের দুই বছর বয়সী শিশু ছেলেকে দেখাশোনা করতেন আকলিমা। আজকেও তারা কারখানায় যান। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান শিশুটি ঘুমাচ্ছে আর ভাগ্নির পা ঝুলছে। পরে তিনি আশপাশের লোকজন ডেকে ঘরে ঢোকেন। এ সময় ঘরের ভেতরের দরজা ও বাইরের গেট খোলা ছিল। ঘরে ঢুকে তিনি মরদেহটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে তার মামা পলাশ হোসেনের দাবি, মেয়েটিকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ওই ভাড়া বাসার কেয়ারটেকারকে এজন্য দায়ি করেন। পলাশ হোসেন বলেন, বাড়ির কেয়ারটেকার তাকে হয়রানি করতো ও বিভিন্ন মেসেজ দিতো। সেই হয়তো তাকে হত্যা করেছে।
যদিও বাড়ির মালিক জসীম উদ্দিন জানান, গত পাঁচ দিন আগে ছুটি নিয়ে ওই তরুণ গ্রামের বাড়ি চলে যায়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।