মোঃ সোহেল রানা ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে পূজা মণ্ডপের ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ হারালেন শাকিল হোসেন (২২) নামে এক গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদস্য। এ ঘটনা ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ১২জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করলে ৩জনকে গ্রেপ্তার করে ৪দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের সিংশ্রী বাজারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল হোসেন (২২) মির্জাপুর উপজেলার হাঁড়িয়া গ্রামের মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তবে শাকিল জন্মের পর থেকে তার নানা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে থাকতেন। তার নানার বাড়ি ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগাইল গ্রাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের পাইচাল এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৪৫), মৃত দারগ আলী শিকদারের ছেলে খাদেম আলী (৫০) ও মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন (৪০)। উভয় বাইশাকান্দা ইউনিয়নের সিংশ্রী এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দুর্গাপূজার ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন শাকিল। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে সিংশ্রী বাজারে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় শাকিলের উপর। তাকে এলোপাথাড়ি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ধামরাই উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আসিফ ইকবাল বলেন, ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগাইল শিবনাথ কুটির পূজামণ্ডপে শাকিল হোসেনের ডিউটি ছিল। শাকিলকে যেদিন খুন করা হয় সেদিন তার ডিউটির শেষ দিন ছিল। কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বাড়ির কাছে পৌঁছালে কে বা কারা যেন তাকে মেরে ফেলে।
বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, শাকিল হোসেন আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবার বাড়ি মির্জাপুর। শাকিলের বাবা অন্যত্র বিয়ে করে তার মাকে ডিভোর্স দেয়। তারপর থেকে শাকিল ও তার ছোট ভাই তাদের মায়ের সাথে নানার বাড়িতেই থাকেন।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত শাকিল হোসেনকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এখন পর্যন্ত তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।