ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত এক বছর ধরে কোনো চিকিৎসক যান না। প্রতিদিন গড়ে একশোরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে এ কেন্দ্রে আসলেও চিকিৎসক না থাকায় তারা নিজেরাই ওষুধের নাম বলে ওষুধ সংগ্রহ করেন।
উপজেলার চারটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি এটি। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মার্জিয়া আক্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকলেও প্রায় দুই বছর ধরে তিনি আসেন না। অথচ কেন্দ্রটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আগে নিয়মিত ডাক্তার আসতেন, কিন্তু গত এক বছরে কোনো চিকিৎসক দেখা মেলেনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডা. বাদল সূত্রধর কাগজে কলমে এখানেই কর্মরত, তবে তিনি কবে আসেন বা যান, রোগীরা তা জানেন না। এমনকি ফার্মাসিস্ট আব্দুল হান্নানও বলতে পারেননি ডাক্তার আসেন কিনা।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে হাসপাতালে ১৭ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, মাসের শুরুতেই গ্রামের মানুষ ওষুধ নিয়ে নেন, এরপর বাকিটা সময় ওষুধ ফুরিয়ে যায়। ফলে রোগীরা ফার্মাসিস্টের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে রোগের নাম না বলে সরাসরি ওষুধের নাম বলেই ওষুধ নিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দোতলা ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে, ভেতরে-বাইরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। চারপাশে মশা-মাছির উপদ্রব, হাসপাতালের তিন পাশে লোকজন মলমূত্র ত্যাগ করে। নেই কোনো বাউন্ডারি দেয়াল বা গেট।
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. বাদল সূত্রধর জানান, “আমার পোস্টিং উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে হলেও সংযুক্ত দায়িত্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মাসে একদিন গিয়ে চিকিৎসা দেই।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হোসেন বলেন, “আমি এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ডা. বাদল সূত্রধরকে উপজেলা হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়। তাকে সপ্তাহে একদিন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সেবা দিতে বলা হয়েছে।