নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ
২০২২ সালের শেষ দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে শুরু হয় ৪৮ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি আধুনিক সাইলো নির্মাণের কাজ। সরকারি বরাদ্দ ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাটি ভরাটেই বরাদ্দ ৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সাইলো নির্মাণের দায়িত্ব পায় তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চন্দ্রদ্বীপ কনট্রাকশন, ডন এন্টারপ্রাইজ ও ইথেন এন্টারপ্রাইজ।
মাটি ভরাটের কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হলেও, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই আর কোনো কাজ হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর কার্যত লাপাত্তা ঠিকাদাররা। পড়ে আছে বিশাল জায়গা যেখানে এখন স্থানীয়রা চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার করছেন।
“ধান-চালের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে, সঠিক সময়ে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এজন্য সাইলো নির্মাণ দরকার বলে জানান স্থানীয়রা।
সাইলোটি হলে কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ সহজ হবে। এতে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে। দ্রুত নির্মাণের দাবি এই ব্যবসায়ী নেতা ফরহাদ হোসেন চকদার, সাধারণ সম্পাদক, জেলা চালকল মালিক সমিতি, নওগাঁ।
প্রায় ৯৫ শতাংশ মাটি ভরাট হলেও, অজ্ঞাত কারণে কাজ থেমে আছে জেলায় গুদামের সংখ্যা ও ধারণক্ষমতা পর্যাপ্ত। সাইলো নির্মানের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ খন্দকার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, নওগাঁ।
তথ্য বলছে নওগাঁয় বর্তমানে সরকারি খাদ্য গুদামের সংখ্যা ২০টি, মোট ধারণ ক্ষমতা ৫৮ হাজার ৪৭৫ টন। দ্রুত সাইলোটি নিমার্ণ করার দাবি কৃষক,ব্যবসায়ী ও সচতেন মহলের।