দিনাজপুর প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহি মিলন মেলায় যোগ দিতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রাজশাহী ও নওগাঁও জেলার কয়েক হাজার ক্ষুদ্র- নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা জড়ো হয়ে সকাল থেকেই নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ আসতে শুরু করে মেলায়।
প্রতিবছর শারদীয় দুর্গাপূজার পরে উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলন মেলার উৎসবে মেতে উঠে সকল বয়সের আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
তাদের সাথে মেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উৎসব মুখর পরিবেশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই মিলন মেলা।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) নিজপাড়া ও মোহনপুর ইউনিয়নের আয়োজনে এবং গোলাপগঞ্জ দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সার্বিক তত্তাবধানে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আহ্বায়ক যোশেফ হেমরম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. মনজুরুল মঞ্জু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১১ নং মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ফসিউর রহমান চৌধুরী নবাব, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন, নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান আনিস, কারিতাস বাংলাদেশের দিনাজপুর আঞ্চলিক পরিচালক রবি মার্ডি, বীরগঞ্জ হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যার ফ্রন্টের আহবায়ক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।
এই মেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে একটি গুজব দেখা যায়। এখানে নাকি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন। এখানে কোনো পাত্র বা পাত্রী পছন্দ হলে ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত বাস্তবে এর সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আহ্বায়ক যোশেফ হেমরম বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষের হাত ধরেই এই মেলার সূচনা হয়েছিল। সেই ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা আজও আমরা লালন করছি এবং প্রতি বছর নিয়মিতভাবে এই মেলার আয়োজন করে আসছি। প্রতি বছর দুর্গাপূজার পরের দিন এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখানে বিয়ের আয়োজন সংক্রান্ত যে কথা প্রচলিত আছে, সেটি সঠিক নয়।