নাটোর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ফলে চাঁপাইনবাগঞ্জ রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় এই তিন জেলার শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিবহন মালিদের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান শ্রমিকরা।
নাটোর শহরের হরিশপুর কেন্দ্রীয় বাসট্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসগুলো পার্কিং থাকলে চালকরা কাউন্টারের সামনে আড্ডা দেন। বাসগুলো ছেড়ে না যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ। সরাসরি বাস না পেয়ে ভেঙে ভেঙে যেতে তাদের সময় ও খরচ বেশি হয়।
ঢাকার যাত্রী নাহিদা জানান, আগামীকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তার পরীক্ষা রয়েছে। বাস না পেয়ে তাকে এখন ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। এতে তার খরচ ও সময় বেশি লাগবে।
যাত্রী সাহেদ বলেন, দুর্ভোগ কমাতে এটি দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, যে বেতন দেয়া হয়, সেটি দিয়ে সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট করছেন।
হানিফ পরিবহনের চালক সামাদ বলেন, ‘কর্মের আয়ে যদি সংসার না চলে তাহলে কি করার আছে। ১০ বছর ধরে একই বেতনে পাচ্ছেন তারা। অথচ ১০ বছরে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’
চালক রাশেদ বলেন, ‘তিন জেলার শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আজ মঙ্গলবার ঢাকায় গিয়েছেন। বিকেলে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’
একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করলে চালককে এক হাজার ৩০০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ টাকা ও চালকের সহকারীকে ৫২০ টাকা দেন পরিবহন মালিকরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন মালিকদের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি করে প্রতিকার পাননি পরিবহন শ্রমিকরা। চালকের বেতন দুই হাজার টাকা এবং সুপার ভাইজার ও চালকের সহকারীর বেতন ৫০০ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।