পলাশবাড়ী প্রতিনিধি ঃ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ হেলিকপ্টারে তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি পলাশবাড়ীর হাসবাড়ী স্কুল মাঠে অবতরণ করে।
এসময় মরদেহ গ্রহণ করেন রিংকীর পরিবার ও তার আত্মীয়স্বজন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহটি তার ভবানীপুর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে রিংকীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মরদেহ গ্রহণের সময় , উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল আলম জানান, মরদেহ গ্রামে পৌঁছে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত রুবিনা আফসানা রিংকীর বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। তার বাবা মো. আব্দুর রহমান বরিশাল দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন রিংকী। বড় মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা বাকরুদ্ধ। ছোট ভাইয়ের চোখের পানি থামছে না।
এদিকে, মরদেহ পৌছার পর তাকে এক নজরে দেখতে ভীড় জমায় গ্রামের মানুষ। রিংকীর মৃত্যুতে পরিবার ও গ্রামের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার শিক্ষাজীবন ও ইতিবাচক চরিত্রকে স্মরণ করছেন গ্রামবাসী।
এর আগে, বুধবার দুপুরে রাঙামাটির সাজেকে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে রিংকী নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় ১১ জন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন। নিহত ও আহত শিক্ষার্থীরা সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সেনানিবাস থেকে মরদেহটি হেলিকপ্টারে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।