বরিশাল প্রতিনিধি।
বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, একের পর এক বিয়ে এবং নারীদের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে তিনি অন্তত ১৪ জন নারীকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের ফাঁদে ফেলেছেন।
ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, কবির হোসেন বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা করার সুযোগ কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে একে একে সংসার ভাঙে।
কবির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ঢাকার নাজনিন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ একাধিক নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সর্বশেষ খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন কবির। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। রাজি না হওয়ায় খাদিজাকে বরিশালের সরকারি বাসভবন থেকে বের করে দেন।
খাদিজা অভিযোগ করেন, “আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় নির্যাতন করে বের করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা থানায়, আদালতে এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করলেও এখনো কার্যকর প্রতিকার পাননি। একবার দাপ্তরিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেও প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় কবির হোসেন দ্রুত জামিন পান।
সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে বিনা খরচে সরকারি ডাকবাংলোয় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বরিশালের কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
অভিযুক্তের অবস্থান
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবির হোসেন পাটওয়ারীর আইনজীবী বলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। তবে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তারা ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।