গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসসহ কয়েকজন পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে, তারা দেশে ফিরলে তাদের ঠিকানা হবে কেরানীগঞ্জ কারাগার বল্লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের নদী বেষ্টিত গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন ।
গত ২২ আগষ্ট জামালপুর গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করলে ২৫ আগষ্ট পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে নৌ ডাকাত নয়ন পিয়াস বাহিনী। এতে দুই পক্ষে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ওই ঘটনার ১২ দিন মাথায় শনিবার অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নৌ ডাকাত গ্রুপ সম্পর্কে অনেক আগে থেকে অবগত। তাদের হাতে থানা থেকে লুট করা অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলো উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপরতা দেখাচ্ছে। ক্যাম্পটি স্থায়ী করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপস্থিত সাংবাদিকরা মুন্সীগঞ্জের আলু চাষীদের দুর্দশার চিত্র তার সামনে তুলে ধরলে তিনি বলেন, আলু চাষীরা যাতে ন্যায্য দাম পায় সেজন্য আমরা আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হিমাগার থেকে আলু বের হচ্ছে না'।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ন রশীদ, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম।
প্রসঙ্গতঃ গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নৌ ডাকাতদের অপতৎপরতা কমাতে গত ২২ আগস্ট ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। ক্যাম্প চালু হবার পর ২৫ আগস্ট অস্থায়ী ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করলে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় নৌ ডাকাত বাহিনীটির প্রধান নয়নের বড়ভাই রিপনসহ এখনো পর্যন্ত ৫জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।