রাজশাহী প্রতিনিধি:
আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংবিধানে নেই। এর বাইরে আমরা যেতে পারি না। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয় তাহলে হবে। শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহীর লোক প্রশাসন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এনিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের ভেতর আমরা যেতে চাই না । প্রধান উপদেষ্টার কথা অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয় তার জোর প্রস্তুতি চলছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে গেছে ইনশাল্লাহ। ভোটের জন্য কেনাকাটা এগিয়ে চলছে। সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছি। আগামী রোববার থেকে নির্বাচনী সীমানার শুনানি শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি চলবে। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে এ ধরনের কাজে যারা ছিল তাদের পদায়নের চিন্তা নেই।
নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৫,৭০০ কর্মকর্তা, এদেরকে কোথায় পাঠাবো।
যারা স্বপ্রনোদিত হয়ে বিগত নির্বাচনে অনিয়ম করেছিলো, সেইসব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রাখা হবে না।
তিনি আরো বলেন, ভোট আসতে আসতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যারা বাক্স দখল করে স্বপ্ন নিয়ে আছেন তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো।
ভোট কেন্দ্র দখল করলে পুরো ভোট বাতিল করা হবে।
যারা অস্ত্রবাজি করে ভোটে জিততে চাইবেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ।
স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনী কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সেনাবাহিনী যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
কোন রাজনৈতিক বিতর্কে আমরা যেতে চাই না, রাজনৈতিক দলে প্রভাবিত নই। সংসদ নির্বাচন সঠিক করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই সরকার নির্বাচন নিয়ে আমাকে এখন পর্যন্ত কোন চাপ দেয়নি, আমাকে চাপ দিলে আমি পদত্যাগ করবো, চেয়ারে থাকবো না।