বরিশাল প্রতিনিধি।।
বরিশালে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধকারী ছাত্রজনতার সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
নথুল্লাবাদে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বেলা ১১ টা সময় কর্মসূচি শুরুর ঘণ্টাখানেক পর এই ঘটনা ঘটে।
এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাশে সরে যান। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা। তাদের এই আন্দোলনে শ্রমিকদের একটি পক্ষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার বেলা ১১টার দিকে বরিশালবাসির ব্যানারে কিছু সংখ্যক ছাত্রজনতা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে। তারা যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তখন ঘটনাস্থলে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা সড়ক অবরোধে বাধা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
এদিকে মহাসড়ক অবরোধের কারণের বেলা ১২টা থেকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সড়কের দুইপ্রান্তে যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী।
উল্লেখ্য, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিন্ডিকেট ভাঙা, অনিয়ম-দুর্নীতি এবং রোগীদের হয়রানি বন্ধসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার দাবিতে টানা ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ছাত্র-জনতা। শুরুতে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে এবং পরে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।
এরপর গত পাঁচদিন আগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ শেষে বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রজনতা। এর পর থেকে নগরীর নথুল্লাবাদ সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্র-জনতা।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সাথে না বসে এবং দাবি না মানা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মহিউদ্দিন রনি।