বরিশাল প্রতিনিধি ঃ
জুলাই গণঅভূত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬শে জুলাই আন্দোলনে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদারকে সম্মাননা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিজ কার্যালয়ে তাঁর হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
জিয়াউদ্দিন সকদার বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব। আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। অসংখ্য হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন তিনি।
২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর পতিত সরকারের হামলা ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ১৯ জুলাই সিএন্ডবি রোডে শোক র্যালী বের করে মহানগর বিএনপি।
সেই শোক র্যালীতে স্বশস্ত্র হামলা করে আওয়ামী লীগ। এসময় জিয়াউদ্দিন সিকদারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ওই সময় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
তবে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও রক্ষা পাননি গ্রেফতারের হাত থেকে। ঢাকায় আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসাধীন জিয়াউদ্দিন সিকদারকে গ্রেফতার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। মুমূর্ষু অবস্থায় জেল খাটতে হয় তাকে।
পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ে পালানোর পর আন্দোলনের মুখে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। জুলাই আন্দোলনে সেই অসামান্য অবদানের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে।
সম্মাননা পদক পেয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, আমরা রাজনীতি করি দেশের স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, গণতন্ত্রের পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক টানা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটাই জণগনের এবং দেশের কল্যাণ।
দেশের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকে শহীদ হয়েছে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন, যাঁরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি নিজে আহত হয়েছি, আমাদের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক সাহেব আহত হয়েছে। অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের সৈনিক এবং যোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসন আমাদেরকে স্মরণ করেছেন, আমাদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছেন, এজন্য দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের এই কার্যক্রম জুলাই -আগস্টে যাঁরা আহত হয়েছেন, শহীদ পরিবারগুলো আছেন, তাদের প্রতি আলাদাভাবে, বিশেষভাবে দৃষ্টি বা যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন জিয়াউদ্দিন সিকদার।